জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যোগদানের জন্য নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
এরদোয়ান বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি, ৮০ বছরের পুরনো পরিস্থিতির প্রতিফলনকারী বর্তমান জাতিসংঘ কাঠামো আধুনিক কাজগুলো পূরণের জন্য অপর্যাপ্ত।
'নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন দেশগুলোর ওপর মানবিক সংকট সমাধানের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।'
তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, আমরা ১২ বছর আগে জাতিসংঘের মঞ্চ থেকে প্রথম এটি বলেছিলাম। গত কয়েক বছর ধরে আমাদের মূল্যায়নের ন্যায্যতা বারবার নিশ্চিত হয়েছে। এমনকি মহাসচিবও জাতিসংঘ সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলতে শুরু করেছেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, তুরস্ক সবসময় জাতিসংঘের সংস্কারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে এবং তা অব্যাহত রাখবে। সাধারণ অধিবেশনেও আমি আমাদের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করব।
প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতিসংঘে আমার বক্তৃতায়, আমি গাজা উপত্যকায় মানবিক বিপর্যয় এবং নৃশংসতার কথা তুলে ধরব। আমরা এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় তুরস্কের প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমাদের অবদানের কথাও উল্লেখ করব।
মধ্যপ্রাচ্য সম্পর্কে এরদোগান উল্লেখ করেছেন, অনেক দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে। স্বীকৃতি সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্তগুলো দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করবে। আগামী দিনে আমরা আরও বেশ কয়েকটি রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে দেখব। এটি অবশ্যই আমাদের জন্য বিশেষভাবে সন্তোষজনক হবে। আমরা আশা করি, ফিলিস্তিনের স্বীকৃতির ক্ষেত্রে যত বেশি দেশ থাকবে, তত বেশি অগ্রগতি হবে।
সিরিয়া প্রসঙ্গে এরদোগান বলেন, তুরস্ক সিরিয়াকে একা ছেড়ে দেবে না এবং প্রতিদিন দেশটিকে শক্তিশালী করার জন্য সকল সুযোগ কাজে লাগাবে।