[caption id="attachment_7660" align="aligncenter" width="600"]
ছবি: সংগৃহীত [/caption]
গাজায় ইসরায়েলের গণহত্যা এবং নিজ দেশের সরকারগুলোর তেল আবিবের প্রতি অব্যাহত সমর্থনের প্রতিবাদে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছেন।
শেষ সপ্তাহান্তে ইউরোপে ব্যাপক প্রো-ফিলিস্তাইন প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে লাখ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছেন।
অ্যামস্টারডামে আড়াই লাখ মানুষ ‘রেড লাইন মার্চ’-এ যোগ দেন, যা প্যাক্স নেদারল্যান্ডস আয়োজিত ছিল। তারা ইসরায়েলি দখল সরকারের প্রতি অস্ত্র বিক্রির অবসান চেয়েছেন।
ইটালিতে প্রায় ২০ লাখের বেশি মানুষ ধর্মঘট পালন করেন, যার মধ্যে প্রায় ৩ লাখ রোমে প্রতিবাদে অংশ নেন।
স্পেনের মাদ্রিদ ও বার্সেলোনায় যথাক্রমে ৯০ হাজার ও ৭০ হাজার মানুষ প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেন।
প্যারিস, বার্লিন, লিসবন, এথেন্সসহ ইউরোপের অন্যান্য শহরেও বড় বড় প্রতিবাদ অনুষ্ঠিত হয়। গাজায় গণহত্যার অবসান এবং ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানানো হয়।
প্রতিবাদগুলোতে মানুষের বিশাল অংশগ্রহণে বোঝা যায়- ক্রোধ এখন শুধুমাত্র দখলকারী সরকারের গণহত্যা অভিযানেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং পশ্চিমা সরকারগুলোর ওপরও বৃদ্ধি পাচ্ছে।
প্রতিবাদকারীরা বলছেন, ‘আমাদের সরকাররা গণহত্যাকে সমর্থন করছে।’ ‘সহযোগিতা অবিলম্বে শেষ করুন’ লেখা ব্যানার বহন করেছিলেন অনেকে।
এই ধরনের ধারা ইউরোপের অন্যান্য দেশেও লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যেখানে গণহত্যা-সংশ্লিষ্ট যুদ্ধের শুরু থেকে দখলকারী সরকারের প্রতি জনসমর্থন নাটকীয়ভাবে হ্রাস পেয়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের হামলার পর ইসরায়েলি সরকার প্রাথমিকভাবে পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক সমর্থন পেয়েছিল। কিন্তু গত দুই বছরে দখলকারী সরকারের সামরিক প্রতিক্রিয়া গাজায় বিশাল নাগরিক কষ্টের কারণ হওয়ায় সেই সহানুভূতি হ্রাস পেয়েছে।