

প্রাচীন মিশরের ইতিহাসে ১৮তম রাজবংশের অন্যতম শক্তিশালী ও প্রভাবশালী নারী ছিলেন ‘রানী টিয়ে’। তিনি ফেরাউন তৃতীয় আমেনহোটেপের স্ত্রী, ধর্মীয় সংস্কারক ফেরাউন আখেনাতেনের মা এবং কিংবদন্তী তুতান খামুনের দাদি। যিনি জ্ঞান, কৌশল ও প্রজ্ঞা দিয়ে হয়ে উঠেছিলেন মিশরের রাজকীয় ক্ষমতার আসল চালিকাশক্তি।
রানী টিয়ে শুধু রাজপরিবারের সদস্যই ছিলেন না; বরং তিনি নিজস্ব প্রজ্ঞা, শক্তিশালী ব্যক্তিত্ব এবং রাজনৈতিক দক্ষতার মাধ্যমে প্রাচীন মিশরের রাষ্ট্রীয় কর্মকাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
ইতিহাসবিদদের মতে, তার প্রভাব এতটাই গভীর ছিল যে, রাজ দরবারের পাশাপাশি ধর্মীয় ক্ষেত্রেও তিনি নিজের অবস্থান সুপ্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।
তৎকালীন সময়ে যখন নারীরা সাধারণত পেছনের সারিতেই সীমাবদ্ধ থাকতেন, তখন রানী টিয়ে এক সাহসী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তিনি হয়ে ওঠেন ক্ষমতাশালী নারীর প্রতীক এবং প্রমাণ করেন যে নেতৃত্ব শুধু পুরুষদের একচেটিয়া ক্ষেত্র নয়। আজও ইতিহাস প্রেমী ও গবেষকরা তাকে স্মরণ করেন প্রাচীন মিশরের এক অনন্য নারী নেত্রী হিসেবে।
প্রায় চার হাজার বছর আগের রানী টিয়ে’র মমিটি মিশরে সভ্যতার যাদুঘরের দি রয়েল গ্যালারিতে রয়েছে আরও ২২জন ফারাও রাজা ও রানীর সঙ্গে।