
চলমান এশিয়া কাপে ভারত–পাকিস্তান ম্যাচে মন্তব্য ও মাঠের আচরণের কারণে ভারতীয় ব্যাটার সুর্যকুমার যাদব ও পাকিস্তানি পেসার হারিস রউফকে ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি।
তবে পাকিস্তানি ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান শাস্তি এড়াতে সক্ষম হয়েছেন। সুপার ফোরে গত রোববার অর্ধশতক পূর্ণ করার পর তার বন্দুক সেলিব্রেশনের ঘটনায় তাকে কেবল সতর্ক করা হয়েছে।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার আইসিসি শৃঙ্খলাভঙ্গ সংক্রান্ত শুনানি পরিচালনা করে। এতে ম্যাচ রেফারিদের পাশাপাশি দুই দলের ম্যানেজারও উপস্থিত ছিলেন।
টুর্নামেন্টে শুরু থেকেই দুই দলের মধ্যে উত্তেজনা প্রবল ছিল। সবকিছুর সূত্রপাত হয় ১৪ সেপ্টেম্বরের গ্রুপপর্বে টসের সময়। ওই ম্যাচে সুর্যকুমার ও ভারতীয় ক্রিকেটাররা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে হাত মেলাতে অস্বীকৃতি জানান। এরপরই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তোলে।
পিসিবির একাধিক ইমেইলের পর আইসিসি জানায়, পাইক্রফট কোনো ভুল করেননি। তাকে ক্লিন সিট দেওয়া হয়। এর পর আবার পিসিবি ইমেইল পাঠায়, যেখানে ভারতের অধিনায়ক সুর্যকুমারের ম্যাচ-পরবর্তী মন্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
১৭ সেপ্টেম্বর আইসিসি ওই ইমেইল পায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখার সময়েই ভারতীয় বোর্ড (বিসিসিআই) রউফ ও ফারহানের উসকানিমূলক অঙ্গভঙ্গির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ চেয়ে ইমেইল পাঠায়।
তদন্তের পর প্রমাণিত হয়, ফিল্ডিংয়ের সময় সীমান্তরেখার কাছে রউফের ইশারা—যার মধ্যে ভারতীয় দর্শকদের উদ্দেশ্যে “প্লেন ভেঙে পড়া” ইঙ্গিতও ছিল—আগ্রাসী ও অগ্রহণযোগ্য। এর ফলেই তার ম্যাচ ফির ৩০ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়।
অন্যদিকে ফারহান বন্দুক-উদযাপনের জন্য কেবল সতর্কবার্তায় পার পেয়ে যান, আর্থিক জরিমানার মুখে পড়তে হয়নি তাকে।
সুর্যকুমারের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে, পাহেলগামের সন্ত্রাসী হামলায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ও ভারতীয় সেনার সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করায় তাকে জরিমানা করা হয়েছে। তবে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতীয় বোর্ড ইতোমধ্যেই এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে।
এশিয়া কাপের ফাইনালে এবার মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান। শিরোপা লড়াইটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর, দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।