

ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টির (আইএলটি২০) প্রথম নিলামে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় ছিলেন ভারতের অফস্পিন কিংবদন্তি রবীচন্দ্রন অশ্বিন। ছয় অঙ্কের ভিত্তিমূল্য ছিল একমাত্র তারই। তবে নিলাম শেষে তিনি রয়ে গেলেন দলহীন— যা বড় বিস্ময় হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
বুধবার অনুষ্ঠিত এই নিলামে সবচেয়ে বড় চমক ক্যারিবিয়ান কিপার-ব্যাটার আন্দ্রে ফ্লেচার। ৮০ হাজার মার্কিন ডলার ভিত্তিমূল্যের ফ্লেচারকে এমআই এমিরেটস কিনেছে ২ লাখ ৬০ হাজার ডলারে। এর আগে টুর্নামেন্টের প্রতিটি আসরেই এই দলের হয়ে খেলেছেন ৩৭ বছর বয়সী এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। একই দলে রয়েছেন বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান, যাকে ভিত্তিমূল্য ৪০ হাজার ডলারে দলে ভিড়িয়েছে এমআই এমিরেটস।
চমকের তালিকায় আছেন ইংলিশ পেসার স্কট কুরিও। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাত্র তিনটি ওয়ানডে খেলা এই পেসারের ভিত্তিমূল্য ছিল ৪০ হাজার ডলার। দেশীয় ক্রিকেটের বাইরে আগে কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ না খেললেও দুবাই ক্যাপিটালস তাকে কিনেছে আড়াই লাখ ডলারে। চলতি বছরের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে ২৭ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন মাত্র ২৪ বছর বয়সী কুরি। দুবাই ক্যাপিটালসে তিনি সতীর্থ হিসেবে পাবেন বাংলাদেশের মোস্তাফিজুর রহমানকে, যাকে নিলামের আগেই দলে নিয়েছিল দলটি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের পেসার জুনাইদ সিদ্দিকির জন্যও ছিল কাড়াকাড়ি। ১০ হাজার ডলার ভিত্তিমূল্যের এই বোলারকে ১ লাখ ৭০ হাজার ডলারে নেয় গালফ জায়ান্টস। তবে ‘রাইট টু ম্যাচ’ কার্ড ব্যবহার করে শারজাহ ওয়ারিয়র্স তাকে নিজেদের দলে ধরে রাখে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১১১ উইকেট নিয়ে আমিরাতের সফলতম বোলার জুনাইদ এশিয়া কাপেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেন।
এছাড়া এমআই এমিরেটস ১ লাখ ৪০ হাজার ডলারে দলে নিয়েছে আমিরাতের তরুণ পেসার মুহাম্মদ রোহিদকে এবং ১ লাখ ডলারে আফগান পেসার নাভিন-উল হাককে। অন্যদিকে গালফ জায়ান্টস ১ লাখ ৭০ হাজার ডলারে ভিড়িয়েছে ইংলিশ অলরাউন্ডার লিয়াম ডসনকে।
সবচেয়ে কৌতূহল জাগানো পদক্ষেপ ছিল ডেজার্ট ভাইপার্সের। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সম্প্রতি জানিয়েছিল, পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের বিদেশি লিগে খেলার অনুমতি নেই। তবুও ফ্র্যাঞ্চাইজিটি নিলামে নিয়েছে তিন পাকিস্তানি ক্রিকেটার— ফখর জামান ও নাসিম শাহকে ৮০ হাজার ডলার করে এবং তরুণ ব্যাটার হাসান নাওয়াজকে ৪০ হাজার ডলারে।
আগামী ২ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এবারের আইএলটি২০।