শিশুর খেলার নতুন সঙ্গী: এআই কি


কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির ব্যবহার এখন সর্বত্র। ফলে শিশুদের সঙ্গেও আধুনিক প্রযুক্তির যোগাযোগ বাড়ছে। বিশষ করে কণ্ঠভিত্তিক এআই (যেমন চ্যাটজিপিটি) এখন অনেক পরিবারেই শিশুদের বিনোদন ও কথোপকথনের অংশ হয়ে উঠেছে।

এক অভিভাবক জানান, তার চার বছরের শিশু দুই ঘণ্টা ধরে এআইকে ‘ট্রেন-প্রেমী মানুষ’ হিসেবে বিশ্বাস করে গল্প শুনছিল। শিশুটি এটি বুঝতেই পারে না যে, এটি কেবল একটি প্রোগ্রাম।

গবেষকরা বলছেন, শিশুদের কাছে এআই একটি ‘মেশিন’ নয়, বরং ‘সঙ্গী’ বা ‘বন্ধু’ হিসেবে ধরা পড়ে। এর ফলে, শিশুরা এআই-এর উত্তরে মানবিক উদ্দেশ্য বা অনুভূতি খোঁজে- যা বাস্তবে নেই।

এক গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, এআইয়ের সাহায্যে কাজ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। তবে এতে করে সৃজনশীলতা কমে যায়, বৈচিত্র্য কমে যায়। অর্থাৎ, এক ধাঁচের অনেক ফল তৈরি হয়, যাতে করে বৈচিত্র্য কমে যায়।

এদিকে বাজারে ইতিমধ্যে এক ধরনের ‘এআই খেলনা’ উদ্ভাবন শুরু হয়েছে। গিনি নামের এক ধরনের ডিভাইস শিশুদের টাইল নির্বাচন করতে দেয়-ি চরিত্র, আবেগ বা জিনিস এবং এআই সেসব দিয়ে গল্প তৈরি করে বলে দেয়।

তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, এ ধরনের খেলনার ডিজাইন এমন হওয়া উচিত, যাতে শিশু বুঝতে পারে এটি একটি যন্ত্র এবং যাতে স্বচ্ছতা ও সীমাবদ্ধতা থাকে। অভিভাবকদের উচিত শিশুদের এআই ব্যবহার সীমিত করা, পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রয়োজন অনুযায়ী আলোচনায় যুক্ত করা।

এটি স্পষ্ট যে এআই প্রযুক্তি শিশুদের কল্পনা জাগাতে পারে, তবে একই সঙ্গে অতিরিক্ত নির্ভরতা বা আবেগগত বিভ্রাটের কারণে বিপজ্জনকও হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব সম্পর্কে গবেষণা এখনও সীমিত। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

Leave a Reply

Scroll to Top