বাউফলে স্বর্ণালংকার লুটপাট, হুমকি দিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার চেষ্টা


পটুয়াখালীর বাউফলে কলেজ প্রভাষক সজল চন্দ্রের বাড়িতে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার লুটের ঘটনায় মামলা হয়। পরে পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। কারাগার থেকে জামিনে বের হয়ে আসামিরা রামদা, ছোরা নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে বাদীকে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাদী।

কারাগার থেকে বের হওয়া আসামিরা হলেন- মাঈনুল ইসলাম খানঁ (৩০), সিফাত ফকির (২২) ও মহিব উল্লাহ হাওলাদার (২৫)।

সম্প্রতি আসামিরা জামিনে বের হন। এরপর তারা রামদা, ছোরা নিয়ে এলাকায় মহড়া দিয়ে মামলা তুলে নিতে বাদীকে হুমকি দেয়। এতে পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে জানান বাদী সজল চন্দ্র হালদার। তিনি কালিশুরি কলেজের প্রভাষক।

জানা গেছে, গত ২৩ এপ্রিল রাত ৩টায় ৬-৭ জনের একটি ডাকাত দল পাকা ভবনের ভেন্টিলেটর ও গ্রিল ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। তারা বাড়ির কর্মচারী সুজন ও মিঠুনকে অস্ত্রের মুখে হাত-পা বেঁধে ফেলে। পরে দোতলায় উঠে পড়ে। অস্ত্রের মুখে সজল হাওলাদারকে জিম্মি করে স্টিলের আলমারি ভেঙে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ একলাখ টাকা লুট করে পালিয়ে যায় ডাকাত দল। এর পরদিন সজল চন্দ্র হাওলাদার বাউফল থানায় একটি মামলা করেন।

বাউফল থানার (ওসি, তদন্ত) আতিকুল ইসলাম জানান, মামলার পর ২৬ এপ্রিল রাতে প্রযুক্তির মাধ্যমে কাছিপাড়ার শাহ আলম খানের ছেলে মঈনুল খানকে আটক করা হয়। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে সিংহেরা কাঠির সোহরব ফকিরের ছেলে সিফাত এবং আবুল হোসেনের ছেলে মোহিত হোসেন সজিববের নাম বলেন তিনি। পরে তাদের আটক রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তারা কেউ আমাদের কোনো তথ্য দেয়নি।

আদালতের আরও দুইজনকে আটকের জন্য আবেদন করা হয়েছে। আবেদন অনুমোদন করলেই তাদের আটক করা হবে বলে জানান আতিকুল ইসলাম।

শিক্ষক সজল চন্দ্র হালদার বলেন, জেলে থাকা আসামি সিফাত ও সজিব জামিনে বের হয়ে আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমার আত্মীয়, স্বজন ও প্রতিবেশীর সামনে রামদা ও ছোরা দেখায়। ডাকাতির মামলা তুলে না নিলে ভয়ানক পরিণতি হবে বলে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তারা।

সজল আরও বলেন, বিষয়টি আমি পুলিশকে অবহিত করেছি। পরিবার নিয়ে আমি শঙ্কিত।

এ বিষয় বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আক্তারুজ্জামান সরকার সমকালকে বলেন, অস্ত্র দেখিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকির বিষয়ে বাদী সজল বাবু এখনও জানাননি। তবে তিনি জানালে বা আরেকটা জিডি করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Scroll to Top