

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে চার দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের বৈঠক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা এখন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে রয়েছেন। স্থানীয় সময় বুধবার তিনি ইতালি, পাকিস্তান, ফিনল্যান্ড ও কসোভোর রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন।
নিউইয়র্কে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রতিটি বৈঠক খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা বলব যে এসব বৈঠকের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ ছাড়া তিনি কসোভোর প্রেসিডেন্ট ভজোসা ওসমানির সঙ্গেও বৈঠক করেন।
শফিকুল আলম বলেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের প্রতিটি বৈঠকে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে অধ্যাপক ইউনূস বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর অনুরোধ করলে তিনি ইতালি-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম গঠনের প্রস্তাব দেন।
প্রেস সচিব বলেন, কসোভো একটি ছোট দেশ। তবে দেশটির অর্থনীতি দ্রুত বাড়ছে। গত দুই বছরে ইউরোপের দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে দেশটি। তিনি জানান, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
শফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে ইতালি ও ফিনল্যান্ড। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি আশা প্রকাশ করেন, তিনি আগামী ডিসেম্বরে বাংলাদেশ সফর করতে পারেন।
চারটি বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রেস সচিব। তিনি আরও জানান, জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া রোহিঙ্গাবিষয়ক সম্মেলনে উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা জানিয়েছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী।
শফিকুল আলম বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা পাকিস্তানে সাম্প্রতিক বন্যায় প্রাণহানির ঘটনায় সমবেদনা জানান। বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয় দুই নেতার।