

রাজনীতিবিদ এবং তাদের সহযোগী ব্যবসায়ীরাই বাংলাদেশের জ্বালানি ঘাটতি তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
আজ শনিবার সকালে রাজধানীর কারওয়ানবাজারের একটি হোটেলে ‘টেকসই এলপিজি অর্থনীতি গড়ে তোলা, পরিবেশগত প্রভাব মোকাবিলা এবং নিরাপত্তা জোরদার’ শীর্ষক পলিসি ডিসকাশন অনুষ্ঠানে তিনি এ অভিযোগ করেন।
ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘বাসাবাড়ি ও শিল্পকারখানায় অবৈধ লাইনের কারণেও জ্বালানি ঘাটতি দেখা দেয়। অনেক জায়গায় লাইন দেওয়া হয়েছে দুর্নীতি করতে, টাকা সরাতে। জানে যে গ্যাস দেওয়া যাবে না, তারপরও এমনটা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর বাইরেও প্রাকৃতিক গ্যাস বাড়তি দামে আমদানি করতে বাধ্য হচ্ছি। এসব জায়গায় অবশ্যই এলপিজি আমদানি সহজ এবং খরচ কম।’
এলপিজির দাম কমাতে সবাইকে নিয়ে কাজ করার কথাও জানিয়ে ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘দায়িত্বহীন ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। শিল্প কারখানায় এলপিজি দিতে হলে দাম কমাতে কাজ করতে হবে। কীভাবে এলপিজি দিয়ে বিদুৎ উৎপাদন করা যায় সেটাও ভেবে দেখা দরকার।’
অনুষ্ঠানে দেশের জ্বালানি খাতের নীতিনির্ধারক, গবেষক, উদ্যোক্তা, শিল্পপ্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও উন্নয়ন সহযোগীরাও অংশ নেন। এ সময় নিজেদের জায়গা থেকে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন তারা।