গার্মেন্টসের বন্ধ হওয়া কারখানা আবার চালু হচ্ছে

রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস খাত এখন নতুন সম্ভাবনার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক নীতির ফলে রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস খাত এখন নতুন সম্ভাবনার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে। পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে এ শিল্পের বন্ধ কারখানা, আসছে দেশি-বিদেশি নতুন বিনিয়োগ। এতে নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সম্প্রতি তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে ২০টিরও বেশি নতুন চীনা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে প্রায় ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমানোর সৃষ্ট সুযোগ কাজে লাগাতে চায় চীনা বিনিয়োগকারীরা।

তারা নতুন বিনিয়োগ, কারখানা ভাড়া নেওয়া এবং বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করে বাংলাদেশে উৎপাদন শুরু করতে আগ্রহী দেখাচ্ছেন। অন্যদিকে, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংকটÑবিশেষত গ্যাস নির্ভর ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ এ শিল্প খাতের বড় চ্যালেঞ্জ। আবার ব্যবসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে কারখানা বন্ধের মতো ঘটনাও রয়েছে পোশাকখাতে। এ অবস্থায় পোশাকখাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অবকাঠামো সহায়তা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ, বন্দর, ব্যাংকিং ও কাস্টমস সুবিধা নিশ্চিত করার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত ১৫ মাসে তাদের নতুন সদস্য হয়েছে ১২৮টি কারখানা। সব কটি কারখানা পুরোপুরি উৎপাদনে এলে মোট ৭৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এর বাইরে পুরানো কিছু কারখানাও উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াতে নতুন বিনিয়োগ করেছেন উদ্যোক্তারা। অন্যদিকে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে এ বছরের মার্চ পর্যন্ত ১৫ মাসে বিজিএমইএর সদস্য এমন ১১৩টি কারখানা বন্ধ হয়েছে। তবে কারখানা চালু ও বন্ধের মধ্যেও তৈরি পোশাকের রপ্তানি বেড়েছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস জুলাই-মার্চে মোট ৩ হাজার ২৫ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে।
এই রপ্তানি এর আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১০ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি। এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সিনিয়র সহ-সভাপতি ইনামুল হক খান বাবলু সম্প্রতি জানিয়েছেন, মার্কিন ক্রেতারা ফ্রি ক্যাপাসিটির কারখানা খুঁজছেন। ফলে উদ্যোক্তারা বন্ধ থাকা কারখানাগুলো পুনরায় সক্রিয় করছে এবং উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াচ্ছে। চীনা বিনিয়োগকারীরাও বাংলাদেশকে নতুন উৎপাদন কেন্দ্র হিসেবে বিবেচনা করছে, যা দেশের রপ্তানির জন্য দারুণ সম্ভাবনার দুয়ার খুলেছে। তিনি আরও বলেন, ফুল ফোর্সে অর্ডার ফিরে আসায় বন্ধ কারখানা পুনরায় চালুর সুযোগ তৈরি হবে।

আমরা ইতোমধ্যে এগুলো রিভাইভ করা নিয়ে আলোচনা করছি। আবার বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ) সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল জনকণ্ঠকে বলেন, এখন বিনিয়োগের সেরা সময়। উদ্যোক্তাদের জন্য সরকারি সহায়তা চেয়ে তিনি জানান, আমরা আবার বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত। এ জন্য নীতিগত সহায়তা দিন। এ ছাড়া ঢাকায় চীনা দূতাবাসে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য নিয়ে বৈঠকে চীন নতুন বিনিয়োগে আগ্রহ দেখায়। ওই বৈঠকে জানানো হয়, তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল খাতে চীন প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে প্রস্তুত।

এ প্রসঙ্গে তাসকীন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, পাল্টা শুল্কের সুবিধা নিতে অনেকেই নতুন বিনিয়োগে আগ্রহী হচ্ছেন। বিদেশি অর্ডার বাড়ছে। আমরা সরকারের কাছে অবকাঠামোগত সুবিধা চেয়েছি।  এদিকে, গত ১৫ মাসে বিজিএমইএর সদস্যপদ নেওয়া কারখানাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলোÑ একেএইচ আউটওয়্যার, এজেড কম্পোজিট, নেক্সটন, এলএসএ অ্যাপারেলস, সিটেক ফ্যাশন, সুপ্রিম আউটফিট, স্প্যারো গ্রিনটেক ইত্যাদি। নতুন ১২৮ কারখানার মধ্যে ১৮টিতে শ্রমিকের সংখ্যা হবে ১ হাজারের বেশি করে। তার মানে অধিকাংশই ক্ষুদ্র ও মাঝারি কারখানা।

এজেড কম্পোজিট গত বছর গাজীপুরে পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু করে। বর্তমানে ১৫০ জন শ্রমিক কাজ করলেও পুরোদমে উৎপাদন শুরু হলে আরও ৭০০-৮০০ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে। দেশের আরেক শীর্ষস্থানীয় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক নতুন কারখানা স্থাপনে গত আগস্টে একটি সদস্যপদ নেয়। এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, তৈরি পোশাকশিল্পের বড় ও মাঝারি অনেক কারখানা উৎপাদন সক্ষমতা বাড়াচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) বিনিয়োগ করছে তারা। সঙ্গে নতুন কারখানাও আসছে। সে কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে।

অন্যদিকে ব্যবসার খরচ বেড়ে যাওয়ায় ছোট কারখানাগুলো টিকে থাকতে পারছে না। বন্ধ হওয়া তৈরি পোশাকের কারখানাগুলোর মধ্যে রয়েছে বেক্সিমকো গ্রুপের ২৪টি, কেয়া গ্রুপের ৪টি, টিএনজেডের ৪টি, ভারগো এমএইচ, মডিশ অ্যাটায়ার, সিরোক অ্যাপারেলস, ওডিশ ক্রাফট ইত্যাদি। বেক্সিমকো গ্রুপের ২৪টি বন্ধ হলেও তার মধ্যে কয়েকটি ছিল অস্তিত্বহীন। বেক্সিমকো শিল্পপার্কের ১৪টি কারখানা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বন্ধ করা হয়। এসব প্রতিষ্ঠানে শ্রমিক ছিলেন ৩১ হাজার ৬৭৯ জন, আর কর্মচারী ১ হাজার ৫৬৫ জন। এই শ্রমিক-কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধে ৫২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা দেয় সরকার। যদিও বন্ধ হওয়া অনেক কারখানার শ্রমিকরা এখনো পাওনা বুঝে পাননি।
জানা গেছে, গত এক বছরে অনেক বড় গার্মেন্টস গ্রুপ ব্যাপকভাবে সক্ষমতা বাড়িয়েছে। বিশেষ করে হা-মীম গ্রুপ, নিউ এজ গ্রুপ, ডেকো, প্যাসিফিক গ্রুপ ও স্প্যারো গ্রুপ সবাই সম্প্রতি তাদের সক্ষমতা বাড়িয়েছে। উদ্যোক্তারা মনে করছেন, চাহিদা বাড়ার এ সময়টাই কাজে লাগানোর সেরা সুযোগ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক কমানোর সৃষ্ট সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন চীনা বিনিয়োগকারীরা। তারা নতুন বিনিয়োগ, কারখানা ভাড়া নেওয়া এবং বিদ্যমান অবকাঠামো ব্যবহার করে বাংলাদেশে উৎপাদন শুরু করতে আগ্রহী দেখাচ্ছেন। ইতোমধ্যে বন্ধ থাকা অনেক কারখানা ভাড়া নিয়ে চীনা বিনিয়োগকারীরা পোশাক উৎপাদন শুরু করে দিয়েছেন।

শিল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, চীনা বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগের পাশাপাশি চলমান নয়-এমন রেডি-টু-ইউজ কিন্তু বর্তমানে বন্ধ আছে এমন কারখানা কিনতেও আগ্রহী। এছাড়া চীনা বায়িং হাউসগুলো বাংলাদেশের পোশাক কারখানার সঙ্গে ফ্রি অব চার্জ (এফওসি) ব্যবসায়িaক মডেল কাজ করার সুযোগ খুঁজছে। এ ধরনের ব্যবস্থায় বায়াররা কাঁচামাল সরবরাহ ও আর্থিক খরচ বহন করে, আর কারখানা কর্তৃপক্ষ শুধু উৎপাদনের দায়িত্ব নেয়। এতে প্রস্তুতকারকের ঝুঁকি কম হলেও লাভের হারও কম, কারণ শুধু কাটিং ও মেকিং খরচ দেওয়া হয়। ফকির ফ্যাশনস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফকির কামরুজ্জামান নাহিদ জানান, অনেক কারখানা এফওসি-ভিত্তিক অর্ডার নিয়ে আলোচনা করছে, তবে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত কার্যাদেশ থাকায় আমরা এমন অফার গ্রহণ করছি না।
জানা গেছে, ভারত ও চীনে উচ্চ শুল্কের কারণে সেখান থেকে ক্রয়াদেশ সরিয়ে বাংলাদেশে আসছে ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। ফলে দেশের প্রধান রপ্তানিপণ্য তৈরি পোশাক খাতে তৈরি হয়েছে নতুন সম্ভাবনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের এটি একটি অর্থনৈতিক সাফল্য। তারা বলছেন, ভারত ও চীনের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে শুল্ক কমানোর দরকষাকষিতে পিছিয়ে পড়লেও এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছিল ব্যতিক্রম, এসেছে কূটনৈতিক সাফল্যও। তবে  এই সাফল্য ধরে রাখতে নানা রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের নীতিগত সহায়তা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। উল্লেখ্য, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৩১ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ভিয়েতনামের মত বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানিতে পাল্টা শুল্ক সংশোধন করে ২০ শতাংশ করেন।

তার বিপরীতে চীনা পণ্যে এখন শুল্ক ৪১ শতাংশ। তবে ভারতের পণ্যে শুল্কের হার ২৫ শতাংশ, যা প্রতিযোগী দেশের চেয়ে তুলনামূলক বেশি। শুধু তাই নয়, রাশিয়ার জ্বালানি কেনার ‘অপরাধে’ ভারতের পণ্যে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন ট্রাম্প। ইতোমধ্যে ভারতের বাড়তি ২৫ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ পাল্টা শুল্ক আরও কমানোর ব্যাপারে দরকষাকষি ও আলাচনা শুরু করেছে। মার্কিন তুলা ব্যবহার এবং দেশটি থেকে আমদানি বাড়ানো হলে পাল্টা শুল্ক আরও ৫ শতাংশ পর্যন্ত নামিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দীন।
আশা করা হচ্ছে-যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানিতে আরও শুল্ক সুবিধা পাবে বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, আগামী বসন্তের জন্য আমাদের কাছে ৫-১০ শতাংশ বাড়তি ক্রয়াদেশ রয়েছে। আর গ্রীষ্মের জন্য ১০-১৫ শতাংশ বাড়তি ক্রয়াদেশ আছে। এ জন্য আমরা ক্রেতাদের কাছ থেকে ২ ঘণ্টার পরিবর্তে ৩ ঘণ্টার ওভারটাইম করানোর অনুমতি নিয়েছি। তিনি বলেন, যেসব মার্কিন ক্রেতা ভারতে কাজ করে, তবে বাংলাদেশে করে না, সেসব ক্রেতার ক্রয়াদেশ নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। কারণ, নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড তার মোট উৎপাদনের নির্দিষ্ট অংশ একটি দেশে উৎপাদন করে।

ফলে সাময়িকভাবে ক্রয়াদেশ এলেও ভবিষ্যতে না থাকার সম্ভাবনাই বেশি। চলতি আগস্ট থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্য রপ্তানিতে বাংলাদেশকে আগের ১৫ শতাংশের সঙ্গে নতুন করে ২০ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে। একই হারে শুল্ক দিতে হচ্ছে ভিয়েতনামকে। অন্যদিকে চীনকে সর্বোচ্চ শুল্ক দিতে হয়, ভারতকেও দিতে হবে বাড়তি ৫০ শতাংশ শুল্ক। ভিয়েতনামের শুল্ক বাংলাদেশের সমান হলেও দেশটির পণ্য রপ্তানিতে ট্রান্সশিপমেন্ট থাকায় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি গুনতে হবে। ফলে মার্কিন বাজারে পোশাক শিল্পের প্রতিযোগী ভিয়েতনাম, চীন ও ভারতের চেয়ে বাংলাদেশ সুবিধাজনক অবস্থানে আছে।

তৈরি পোশাক রপ্তানিতে ভারতের উৎপাদনকারীরা নিজ দেশে বাড়তি নীতি সহায়তা পায়। পোশাক রপ্তানিতে তারা উদীয়মান দেশ হয়ে ওঠায় বাংলাদেশের জন্য ঝুঁকি সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এবার ভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় সেই প্রতিবন্ধকতা কিছুটা কমেছে বলে জানিয়েছেন রপ্তানিকারকরা।
বাড়তি শুল্কে বাংলাদেশের জন্য যুগপৎ চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ তৈরি হয়েছে ॥ তৈরি পোশাক খাতের রপ্তানিকারকরা বলছেন, পাল্টা শুল্কের কারণে মার্কিন বাজারে তৈরি পোশাকের চাহিদা কিছুটা কমতে পারে। তারপরও রফতানি বৃদ্ধির বড় সুযোগ তৈরি হবে। এর কারণ চীনের ওপর উচ্চ শুল্ক থাকায় সেখান থেকে প্রচুর কার্যাদেশ সরবে। তার একটা অংশ পাচ্ছে বাংলাদেশ। সম্ভাবনার বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, বাড়তি শুল্কের জন্য বাংলাদেশের সামনে চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ দুটিই তৈরি হয়েছে।

চীনের ওপর নতুন করে ট্যারিফ আরোপের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়তে পারে। এর ফলে রপ্তানি আদেশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে। তবে এখানে একাধিক প্রতিযোগী দেশও থাকবে। যেমন ভিয়েতনাম, ভারত, ইন্দোনেশিয়া- যারা কানাডা, মেক্সিকো ও চীনের ফাঁকা বাজার দখলের চেষ্টা করবে। অন্যদিকে শুল্কের কারণে যদি বিশ্ব অর্থনীতি মন্থর হয়, তা হলে বাংলাদেশি রপ্তানির সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস পাওয়ার ঝুঁকিও আছে।

সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, বাড়তি শুল্ক কারা কতটুকু বহন করছে, তা দেখার বিষয়। এটি উদ্যোক্তাদের ওপর এলে মুনাফা কিছুটা কমে যাবে। কারণ পারস্পরিক শুল্ক হার তুলনামূলকভাবে কমলেও খুচরা বাজারে দাম বেড়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি, ব্যাংক, লজিস্টিক, পোর্ট ও এনবিআরের ব্যবস্থাপনা সহজলভ্য করতে হবে।

Leave a Reply

Scroll to Top